কায়াজমা (Chiasma) হলো একজোড়া সমসংস্থ ক্রোমোসোমের দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিডের মধ্যে অংশের বিনিময়ের স্থান। এই স্থানটি ইংরেজি "X" অক্ষরের মতো দেখায়। কায়াজমা মিয়োসিস-১ কোষ বিভাজনের প্রোফেজ-১ এর প্যাকাইটিন উপপর্যায়ের শেষের দিকে দেখা যায়। এই সময় ক্রোমোসোমগুলো দীর্ঘ এবং চিকন হয়ে ওঠে। হোমোলোগাস ক্রোমোসোমের নন-সিস্টার ক্রোমাটিডগুলো একে অপরের সাথে সংযুক্ত হয়ে কায়াজমা গঠন করে।
কায়াজমার মাধ্যমে ক্রোমোসোমের অংশের বিনিময় ঘটে। এই বিনিময়কে ক্রসিং ওভার বলে। ক্রসিং ওভার জিনগত বৈচিত্র্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি নতুন বৈশিষ্ট্যের উদ্ভব ঘটাতে সহায়তা করে।
কায়াজমার গঠন ও কার্যপদ্ধতি নিম্নরূপ:
-
হোমোলোগাস ক্রোমোসোমের নন-সিস্টার ক্রোমাটিডগুলোর মধ্যে হিমোফিলিয়ান নামক একটি প্রোটিন সংযুক্ত হয়।
-
এই প্রোটিনের সংযুক্তির ফলে নন-সিস্টার ক্রোমাটিডগুলো একে অপরের সাথে সংযুক্ত হয়ে কায়াজমা গঠন করে।
-
কায়াজমার গঠনের সময় ক্রোমোসোমের কিছু অংশের ডিএনএ ভেঙে যায়।
-
এই ভেঙে যাওয়া অংশগুলো প্রতিবেশী নন-সিস্টার ক্রোমাটিডের সাথে যুক্ত হয়ে যায়।
-
এইভাবে ক্রোমোসোমের অংশের বিনিময় ঘটে।
কায়াজমার গঠন ও কার্যপদ্ধতির মাধ্যমে ক্রোমোসোমের বিভিন্ন অংশের মধ্যে জিনগত বৈচিত্র্য সৃষ্টি হয়। এই বৈচিত্র্য জিনগত পরিবর্তনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।