প্যাথোজেন হল এমন কিছু যা রোগ সৃষ্টি করে। জীববিজ্ঞানে ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে আদি এবং ব্যাপকতর অর্থে রোগ সংক্রামক জীবাণু বা সংক্ষেপে রোগজীবাণু হচ্ছে এমন যেকোন কিছু যা রোগ উৎপন্ন করতে পারে। এর পশ্চিমা পরিভাষা প্যাথোজেন (গ্রিক: πάθος pathos "যন্ত্রণা, আবেগ," ও -γενής -genēs "উৎপাদক") ১৮৮০ সালে প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল। সাধারণত রোগ সংক্রমণ সংঘটক (এজেন্ট) যেমন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, প্রিয়ন, এমনকি অন্য কিছু অণুজীবকে বোঝাতেও এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
প্যাথোজেনগুলি জীবিত বা মৃত হতে পারে। জীবিত প্যাথোজেনগুলির মধ্যে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক, পরজীবী, এবং প্রিয়ন। মৃত প্যাথোজেনগুলির মধ্যে রয়েছে টক্সিন, যা জীবিত জীবাণু দ্বারা উৎপন্ন হয়।
প্যাথোজেনগুলি জীবদেহে প্রবেশের বিভিন্ন উপায় রয়েছে। এগুলি বাতাস, জল, খাবার, বা ত্বক বা শ্লেষ্মাঝিল্লির মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারে। প্যাথোজেনগুলি জীবদেহে প্রবেশ করার পরে, এগুলি বিভিন্ন উপায়ে রোগ সৃষ্টি করতে পারে। এগুলি জীবদেহের কোষগুলিকে আক্রমণ করতে পারে, জীবদেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দমন করতে পারে, বা জীবদেহের বিপাক প্রক্রিয়াগুলিকে ব্যাহত করতে পারে।
প্যাথোজেনগুলির কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। কিছু সাধারণ রোগের মধ্যে রয়েছে ঠান্ডা, ফ্লু, জ্বর, সর্দি, টাইফয়েড, কলেরা,ম্যালেরিয়া, এবং এইডস।
প্যাথোজেন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
-
হাত ধোয়া
-
টিকা
-
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
-
পর্যাপ্ত ঘুম
-
মানসিক চাপ কমানো
প্যাথোজেনগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিভাইরাল,অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল।