হারমোগোনিয়া হল শৈবালের একটি অযৌন জনন পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে, উদ্ভিদের দেহের কোনো একটি অংশ থেকে একটি কক্ষ বিভাজিত হয়ে চারটি কক্ষ তৈরি করে। এই চারটি কক্ষের মধ্যে দুটি কক্ষ পুরুষ এবং দুটি কক্ষ স্ত্রী। পুরুষ কক্ষগুলোকে আণ্ডকোষ (antheridia) এবং স্ত্রী কক্ষগুলোকে ডিম্বকোষ (oogonia) বলা হয়। আণ্ডকোষে পুংজনন কোষ এবং ডিম্বকোষে স্ত্রীজনন কোষ তৈরি হয়। পুংজনন কোষগুলি স্ত্রীজনন কোষের দিকে সাঁতারিয়ে যায় এবং তাদের সাথে মিলিত হয়। এই মিলনের ফলে জাইগোট তৈরি হয়। জাইগোট থেকে নতুন উদ্ভিদ জন্ম নেয়।
হারমোগোনিয়া সাধারণত নীলা-সবুজ শৈবাল, যেমন Ulothrix এবং Spirogyra, এ দেখা যায়। এই শৈবালগুলোতে, হারমোগোনিয়া প্রক্রিয়া সাধারণত বসন্তকালে ঘটে।
হারমোগোনিয়া ছাড়াও, শৈবালগুলোতে আরও বিভিন্ন ধরনের অযৌন জনন পদ্ধতি দেখা যায়। যেমন:
-
জুস্পোর: এই পদ্ধতিতে, উদ্ভিদের দেহের কোনো একটি অংশ থেকে একটি কক্ষ বিভাজিত হয়ে একটি চলমান কোষ তৈরি করে। এই চলমান কোষকে জুস্পোর বলা হয়। জুস্পোরগুলো সাঁতারিয়ে অন্যত্র গিয়ে নতুন উদ্ভিদ জন্ম দেয়।
-
অপ্লানospore: এই পদ্ধতিতে, উদ্ভিদের দেহের কোনো একটি অংশ থেকে একটি কক্ষ বিভাজিত হয়ে একটি নিশ্চল কোষ তৈরি করে। এই নিশ্চল কোষকে অ্যাপ্লানospore বলা হয়। অ্যাপ্লানosporeগুলো বাতাস বা জলের মাধ্যমে অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে এবং নতুন উদ্ভিদ জন্ম দেয়।