জীববিজ্ঞানে, সংকরায়ন বলতে দুটি ভিন্ন প্রজাতির মধ্যে আন্তঃপ্রজননের ফলে উদ্ভূত নতুন প্রজন্মকে বোঝায়। সংকরায়ন প্রক্রিয়াটিকে সংকরায়ন বলে। সংকর জীব তাদের নিজস্ব গুণাবলির অধিকারী হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে সংকরটি তার পিতামাতা থেকে ভিন্ন এবং উন্নত বৈশিষ্ট্যও দেখাতে পারে।
সংকরায়নের মাধ্যমে নতুন বৈশিষ্ট্য তৈরি করা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, গরু এবং মহিষের সংকরায়নের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে ব্রাহ্মণ গরু। ব্রাহ্মণ গরু উভয় প্রজাতিরই বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। এটি দুধ উৎপাদনে অধিক দক্ষ এবং শক্তিশালী।
সংকরায়ন কৃষি, পশুপালন, উদ্ভিদ প্রজনন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি খাদ্য উৎপাদন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, নতুন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি ইত্যাদি কাজে সহায়তা করে।
সংকরায়নের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
-
আন্তঃপ্রজাতিক সংকরায়ন: দুটি ভিন্ন প্রজাতির মধ্যে সংকরায়নকে আন্তঃপ্রজাতিক সংকরায়ন বলে। উদাহরণস্বরূপ, গরু এবং মহিষের মধ্যে সংকরায়ন।
-
আন্তঃগোত্রীয় সংকরায়ন: একই গণের দুটি ভিন্ন প্রজাতির মধ্যে সংকরায়নকে আন্তঃগোত্রীয় সংকরায়ন বলে। উদাহরণস্বরূপ, ভেড়া এবং ছাগলের মধ্যে সংকরায়ন।
-
আন্তঃবংশীয় সংকরায়ন: একই প্রজাতির দুটি ভিন্ন জাত বা উপপ্রজাতির মধ্যে সংকরায়নকে আন্তঃবংশীয় সংকরায়ন বলে। উদাহরণস্বরূপ, ধানের বিভিন্ন জাতের মধ্যে সংকরায়ন।
সংকরায়ন প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদী। এর মাধ্যমে নতুন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করা সম্ভব হলেও, তা সবসময় সফল হয় না।