আবু গারিব হল ইরাকের বাগদাদের বাইরে অবস্থিত একটি কারাগার কমপ্লেক্স। এটি ১৯৫০-এর দশকে নির্মিত হয়েছিল এবং সাদ্দাম হোসেনের শাসনামলে রাজনৈতিক বন্দীদের নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত ছিল।
২০০৩ সালের মার্চ মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাক আক্রমণ করার পর, আবু গারিব কারাগারকে প্রাথমিকভাবে সন্দেহভাজন বিদ্রোহীদের এবং অন্যান্য সম্ভাব্য বিপজ্জনক ব্যক্তিদের আটক করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে, শীঘ্রই কারাগারটি নির্যাতন এবং অমানবিক আচরণের জন্য কুখ্যাত হয়ে ওঠে।
২০০৪ সালের এপ্রিলে, আবু গারিব কারাগারে মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্যদের দ্বারা বন্দীদের নির্যাতনের ছবি প্রকাশিত হয়েছিল। ছবিগুলিতে দেখা যায় যে মার্কিন সৈন্যরা বন্দীদের উপর বিকৃত যৌন নির্যাতন, বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য এবং শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছিল।
ছবিগুলির প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক স্তরে তীব্র নিন্দা জারি হয়। মার্কিন সরকার নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং বেশ কয়েকজন মার্কিন সৈন্যের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।
আবু গারিব কারাগারটি ২০০৬ সালে বন্ধ করা হয়েছিল। কারাগারটির স্থলে এখন একটি স্মৃতিসৌধ রয়েছে যা নির্যাতনের শিকারদের সম্মান জানায়।
আবু গারিবের ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক আগ্রাসনের একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। এটি মার্কিন সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সামরিক শৃঙ্খলাহীনতার উদাহরণ।