মেরোজয়েট হল একপ্রকার এককোষী পরজীবী, যা ম্যালেরিয়ার জীবাণু প্লাজমোডিয়াম-এর একটি পর্যায়। মেরোজয়েট মশার লালার মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এবং মানুষের রক্তে দ্রুত সংখ্যাবৃদ্ধি করে। মেরোজয়েটের সংখ্যাবৃদ্ধি ফলে মানুষের শরীরে ম্যালেরিয়া রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়।
মেরোজয়েট সাধারণত তিনটি প্রকারভেদে পাওয়া যায়:
-
স্পোরোজয়েট (Sporozoite): মেরোজয়েটের এই পর্যায়টি মশার লালার মধ্যে থাকে। মশা যখন মানুষের শরীরে দংশন করে, তখন স্পোরোজয়েটগুলো মানুষের রক্তে প্রবেশ করে।
-
মেরোসাইট (Merozoite): স্পোরোজয়েটগুলো মানুষের রক্তে দ্রুত বিভাজিত হয়ে মেরোসাইটে পরিণত হয়। মেরোসাইটগুলো মানুষের রক্তের লোহিত রক্তকণিকায় প্রবেশ করে এবং সেখানে সংখ্যাবৃদ্ধি করে।
-
গামেটোসাইট (Gametocyte): মেরোসাইটগুলো পরিণত হয়ে গামেটোসাইটে পরিণত হয়। গামেটোসাইটগুলো মশার দেহে প্রবেশ করলে নিষেক সম্পন্ন করে এবং জাইগোট সৃষ্টি করে। জাইগোট থেকে ঊওসিস্ট সৃষ্টি হয়, যা আবার স্পোরোজয়েটে পরিণত হয় এবং মশার লালার মাধ্যমে অন্য পোষকের দেহে প্রবেশ করে।
মেরোজয়েট ম্যালেরিয়া রোগের মূল কারণ। মেরোজয়েটের সংখ্যাবৃদ্ধি ফলে মানুষের শরীরে ম্যালেরিয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়। ম্যালেরিয়ার লক্ষণগুলো হল:
-
জ্বর
-
মাথাব্যথা
-
শরীর ব্যথা
-
কাঁপুনি
-
বমি
-
ডায়রিয়া
ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসায় সাধারণত অ্যান্টিমালারিয়াল ওষুধ ব্যবহার করা হয়।