প্রোথেলাস হলো ফার্নের গ্যামেটোফাইটিক দশা। এটি একটি হৃৎপিণ্ডের মতো আকৃতির, মসৃণ, সবুজ, থ্যালাস। এর বাইরের অংশে একটি ভ্রূণকঙ্কাল থাকে যাকে পেরিমার্ম বলে। পেরিমার্মের ভিতরে থাকে একটি নরম, কোমল অংশ যাকে পেরিসেল বলে। প্রোথেলাসের নিম্নভাগে এককোষী রাইজয়েড থাকে যা মাটি থেকে পানি ও পুষ্টি গ্রহণ করে।
প্রোথেলাসে পুং ও স্ত্রী জননাঙ্গ উভয়ই থাকে। পুং জননাঙ্গকে অ্যান্থেরিডিয়াম এবং স্ত্রী জননাঙ্গকে আর্কিগোনিয়াম বলে। অ্যান্থেরিডিয়ামে শুক্রাণু উৎপন্ন হয় এবং আর্কিগোনিয়ামতে ডিম্বাণু উৎপন্ন হয়।
শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনের ফলে জাইগোট তৈরি হয়। জাইগোট থেকে একটি নতুন ফার্নের স্পোরোফাইটিক দশার উদ্ভিদ জন্ম নেয়।
প্রোথেলাস ফার্নের জীবনচক্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি ফার্নের বংশগতির ধারক।
প্রোথেলাসের বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো:
-
এটি একটি হৃৎপিণ্ডের মতো আকৃতির, মসৃণ, সবুজ, থ্যালাস।
-
এর বাইরের অংশে একটি ভ্রূণকঙ্কাল থাকে যাকে পেরিমার্ম বলে।
-
এর নিম্নভাগে এককোষী রাইজয়েড থাকে।
-
এতে পুং ও স্ত্রী জননাঙ্গ উভয়ই থাকে।
প্রোথেলাসের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তসমূহ হলো:
-
আর্দ্র মাটি
-
পর্যাপ্ত আলো
-
উপযুক্ত তাপমাত্রা
প্রোথেলাস সাধারণত বসন্ত ও গ্রীষ্মকালে জন্মে।