ব্যাকটেরিয়া হল এককোষী প্রোক্যারিয়োটিক জীব। এগুলি পৃথিবীর প্রাচীনতম জীব এবং জীবজগতের সর্বত্র পাওয়া যায়। ব্যাকটেরিয়া আকারে ছোট, সাধারণত ০.২ থেকে ৫ মাইক্রোমিটার ব্যাস। এগুলির কোনও নিউক্লিয়াস বা অন্যান্য ঝিল্লিবদ্ধ অঙ্গাণু নেই। ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর সাধারণত পেপটিডোগ্লাইকান দিয়ে তৈরি।
ব্যাকটেরিয়া বিভিন্ন আকৃতির হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে গোলাকার, দন্ডাকার, স্পিরালাইড এবং স্পোর। ব্যাকটেরিয়া বিভিন্ন ধরণের পরিবেশে বাস করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে মাটি, জল, বায়ু এবং জীবন্ত প্রাণী।
ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন ধরণের জীবনচক্র রয়েছে। কিছু ব্যাকটেরিয়া একক কোষ হিসাবে বিভাজিত হয়, অন্যরা শাখা করে বা স্পোর তৈরি করে।
ব্যাকটেরিয়া জীবজগতের জন্য অপরিহার্য। এগুলি সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য তৈরি করে, যা উদ্ভিদ এবং প্রাণী দ্বারা ব্যবহৃত হয়। ব্যাকটেরিয়া মৃত জৈব পদার্থকেও ক্ষয় করে, যা পুষ্টির চক্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ব্যাকটেরিয়া মানুষের জন্য উপকারী এবং ক্ষতিকারক উভয়ই হতে পারে। উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলি আমাদের খাদ্য হজম করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করতে সাহায্য করে। ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াগুলি রোগ সৃষ্টি করতে পারে, যেমন কলেরা, আমাশয় এবং নিউমোনিয়া।
ব্যাকটেরিয়ার কিছু উদাহরণের মধ্যে রয়েছে:
-
এশেরিকিয়া কোলাই, যা মানুষের অন্ত্রে পাওয়া যায় এবং খাদ্যের মাধ্যমে সংক্রমণ হতে পারে।
-
সালমোনেলা, যা মুরগির মাংস এবং ডিমে পাওয়া যায় এবং খাদ্যের মাধ্যমে সংক্রমণ হতে পারে।
-
সায়ানোব্যাকটেরিয়া, যা সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে অক্সিজেন তৈরি করে।
-
ব্যাসিলাস, যা অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করে।
-
স্ট্রেপটোকক্কাস, যা অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করে এবং টনসিলাইটি এবং অন্যান্য সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে।