267 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য টিপস" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
দেশে প্রচন্ড গরমে হিটস্ট্রোক করে আজকে ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।তাই সকলের উচিত সতর্ক থাকা। হিটস্ট্রোক শুধু দুর্বল ব্যক্তিদের নয় একজন সুস্থ সবল মানুষেরও হতে পারে যদি শরীরের তাপমাত্রা ১০৪° ফারেনহাইটের বেশি হয়ে যায়।হিটস্ট্রোকের অনেকগুলো লক্ষণ রয়েছে।এই গরমে কারও মধ্যে যদি এমন লক্ষণগুলো দেখা যায় তাহলে দ্রুত হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে নিয়ে যেতে হবে। এবং হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতে রোগীর অবস্থার উন্নতির জন্য অর্থাৎ রোগীর শরীর ঠান্ডা করার জন্য কিছু কাজ করতে পারেন। ইনশাআল্লাহ এতে করে রোগীর জীবনও বেঁচে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোকের লক্ষণগুলো হচ্ছে-

১.শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া কিন্তু কোন ঘাম না হওয়া।হাত দিয়ে ধরলে শরীর প্রচন্ড গরম লাগবে।

২.রোগী কনফিউজড হয়ে যায়।আপনি কি বলছেন তা বুঝতে পারে না এবং সে কি উত্তর দিচ্ছে সেটাও বোঝা যায় না।

৩.ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া 

৪.বুক ধড়ফড় করা 

৫.বমি বমি ভাব কিংবা বমি হওয়া

৬.অজ্ঞান হয়ে যাওয়া 

এসব লক্ষণ কারও মধ্যে দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে নিয়ে যেতে হবে। এবং যেতে যেতে রোগীর অবস্থার উন্নতির জন্য কিছু কাজ করতে হবে যাতে রোগীর শরীর ঠান্ডা হয়।যেমন -

১.রোগীকে গরম জায়গা থেকে ঠাণ্ডা জায়গায় নিয়ে আসতে হবে অর্থাৎ যেখানে ছায়া আছে,ফ্যান আছে বা এসি আছে।যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে রোগী যে জায়গায় আছে সে জায়গাটা ঠাণ্ডা করার চেষ্টা করতে হবে।ফ্যান চালিয়ে দিবেন কিংবা হাতপাখা দিয়ে বাতাস করবেন।

২.রোগী যদি অতিরিক্ত কাপড় চোপড় পড়া থাকেন তাহলে বাতাস চলাচলের জন্য যতটুকু সম্ভব কাপড় খুলে দিতে হবে।

৩.শরীর ঠাণ্ডা করার জন্য পানি ছিটা দিতে পারেন অথবা কাপড় ভিজিয়ে শরীর মুছে দিতে পারেন। এবং শরীর মুছে দেয়ার সময় বাতাস করবেন ইনশাআল্লাহ এতে করে রোগীর শরীরের পানি শুকিয়ে চামড়া ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।

৪.বরফ জোগাড় করতে পারলে সেটি কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে রোগীর বগলের নিচে এবং ঘাড়ের উপর দিয়ে রাখতে পারেন।

৫.রোগীর যদি হুঁশ থাকে তাহলে তাকে পানি পান করতে বলবেন এবং ডাবের পানি বা স্যালাইনের পানিও খেতে দিতে পারেন।

হিটস্ট্রোক হওয়ার আগে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে উপরোক্ত কাজগুলো করলে ইনশাআল্লাহ হিটস্ট্রোক এড়ানো সম্ভব। হিটস্ট্রোকের হওয়ার আগে যে লক্ষণগুলো দেখা যায় -

১.মাথা ঘোরা বা মাথা হালকা হালকা লাগা।মনে হচ্ছে যে, অজ্ঞান হয়ে যাবো।(রোগী যদি অজ্ঞান হয়ে যায় তাহলে তাকে শুইয়ে পা দুটো একটু উপরে তুলে দিতে হবে। এতে করে ব্রেনে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে।)

২.প্রচন্ড ঘামা (ঘেমে পড়নের জামাকাপড় ভিজে যাওয়া)

৩.বমি বমি ভাব 

৪.অনেক গরম লাগা

৫.অনেক তৃষ্ণা পাওয়া 

৬.মনে হচ্ছে মাংসপেশী ঠেসে ধরছে

৭.মাসলস ক্রেমস

এসব লক্ষণ দেখা দিলে উপরোক্ত কাজগুলো করবেন। সাধারণত উপরোক্ত কাজগুলো করলে আধা ঘন্টার মধ্যে রোগীর ভালো লাগা শুরু করে।যদি তা নয় অর্থাৎ রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটে কিংবা বিপজ্জনক কোনো লক্ষণ দেখতে পান তাহলে অবশ্যই দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে নিয়ে যেতে হবে।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

2 টি উত্তর
15 আগস্ট, 2020 "স্বাস্থ্য টিপস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
2 টি উত্তর
28 জুন, 2019 "স্বাস্থ্য টিপস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
2 টি উত্তর
22 আগস্ট, 2021 "স্বাস্থ্য টিপস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন No.1nir¤B
2 টি উত্তর
2 টি উত্তর
21 সেপ্টেম্বর, 2019 "স্বাস্থ্য টিপস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Minka
1 টি উত্তর
3 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর

36,270 টি প্রশ্ন

35,483 টি উত্তর

1,742 টি মন্তব্য

3,809 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
5 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 5 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 729
গতকাল ভিজিট : 7488
সর্বমোট ভিজিট : 53257443
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...