১। ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠাঃ প্রথমে বলবো ব্র্যান্ডের কথা। বর্তমানে ফেসবুকে রয়েছে হাজার হাজার বিজনেস পেইজ। এত পেইজের ভীড়ে নিজের ব্যবসাকে সবার সামনে পরিচিত করা বেশ খানিকটা কঠিন কাজ। অনলাইন ব্যবসার এই বিশাল জগতে একটি নিজস্ব ওয়েবসাইটই পারে আপনার ব্যবসা ও আপনার পণ্যকে আলাদা ও নান্দনিক পরিচয় দিতে এবং ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে। বিশ্বের সকল নামীদামী ব্র্যান্ডের রয়েছে নিজস্ব ওয়েবসাইট, যারা ফেসবুক পেইজকে ব্যবহার করে কেবলমাত্র প্রচারণার মাধ্যম হিসেবে।
২। ক্রেতার বিশ্বাস অর্জনঃ আগেই বলেছি, ফেসবুকে এখন প্রতিটি পণ্যের জন্য রয়েছে অসংখ্য বিজনেস পেইজ। এই পেইজের ভীড়ে ক্রেতা কীভাবে আপনার কাছে এসে পৌঁছাবে এবং আপনার প্রতি আস্থা আনবে? অবশ্যই আপনার একটি ইকমার্স ওয়েবসাইট আপনাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করবে। অনলাইনের নিয়মিত ক্রেতাদের সকলেরই ইন্টারনেট দুনিয়া সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রয়েছে এবং তারা এটাও জানে আজকাল ফেসবুকে পেইজ খুলে বিজনেস শুরু করা এখন কঠিন কিছু না, যে কেউই এটা করতে পারে এবং এতে আজকাল অনেকেই প্রতারণার স্বীকার হচ্ছেন। ফলে ক্রেতারা তাঁদেরকেই বেশি ভরসা করছেন, যাঁদের ফেসবুক পেইজের সাথে একটি নিজস্ব ইকমার্স ওয়েবসাইটও আছে।
৩। পণ্য প্রদর্শনঃ ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে পণ্য প্রদর্শন করা গেলেও ক্রেতা সহজে তাঁদের পছন্দমতো পণ্যটি খুঁজে পায়না এবং ব্যবসায়ীর নিজের পক্ষেও সম্ভব হয়না পণ্যের ছবি, বর্ণনা সুন্দরভাবে সহজলভ্য উপায়ে সুসজ্জিত করে রাখা। কিন্তু ইকমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্যকে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন। এতে ক্রেতা আপনার পণ্যকে খুব সহজেই খুঁজে পাবেন, পণ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং আপনার পণ্যের প্রতি আগ্রহও প্রকাশ করবেন।
৪। সহজ ও বিশ্বাসযোগ্য পেমেন্ট পদ্ধতিঃ ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য আমাদের নির্ভর করতে হয় ম্যানুয়াল পেমেন্ট পদ্ধতির উপর। ক্যাশ অন, বিকাশ, রকেট , নগদ ইত্যাদির মাধ্যমে সাধারণত ফেসবুক ভিত্তিক বিজনেসে লেনদেন হয়ে থাকে, যাতে পর্যাপ্ত কোনো ডকুমেন্ট থাকেনা। এতে ক্রেতা-বিক্রেতা দুইপক্ষই সহজে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু ইকমার্স ওয়েবসাইটে উপরোক্ত পেমেন্ট ব্যবস্থার পাশাপাশি আপনি master card, visa card ইত্যাদি অপশনও রাখতে পারবেন। এতে সকল ধরণের ক্রেতাই আপনার পণ্য ক্রয়ে সন্তুষ্টি লাভ করবেন।