106 বার দেখা হয়েছে
"মাদ্রাসা" বিভাগে করেছেন

2 উত্তর

1 টি পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর
ইলমে কালামকে মাসাইল এবং আকাইদের বর্ণনা হিসেবে স্পষ্ট দুটি ভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে। যথাঃ- 

১. সে ইলমে কালাম যা বিশেষভাবে ইসলামী দলসমূহের পারস্পরিক রাজনৈতিক অথবা ই'তিকাদগত বিবাদের দরুন সৃষ্টি হয়েছে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, এই মতপার্থক্যের করণেই পারস্পরিক ঝগড়া-বিবাদের সূত্রপাত এবং বিরাট বিরাট বিপর্যয় সংঘটিত হয়; বরং কোন কোন ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন কোন এক দলের পক্ষ অবলম্বন করায় অন্য দলের উপর অত্যাচার ও নিপীড়ন পর্যন্ত বৈধ রাখা হয়েছে (যেমন খলীফা মামুনুর রাশীদের আমলে মু'তাযিলীদের পক্ষ অবলম্বন।)

২. সেই ইলমে কালাম যা দর্শনের মোকাবিলার সৃষ্টি হয়েছে।

মুতাকাদ্দিমীন (প্রাচীন আলিমগণ) এর নিকট এগুলো ছিল দুটি পৃথক ইলম। কিন্তু ইমাম গাযালী (রহঃ) ফালসাফা এবং কালামের মধ্যে পারস্পরিক মিশ্রণ ও মিলনের ভিত্তি রচ করেন। ইমাম রাযী (রহঃ) সেটার উন্নতি সাধন করেন এবং পরবর্তী কালের আলিমগণ (মুতাআখখিরীন) সেটাকে এতদূর মিশ্রিতরূপে আলোচনা করেন যে, শিবলী নু'মানী ভাষায় ফালসাফা, কালাম, উসূলে আকাইদ সবকিছু একাকার হয়ে একটি মিশ্রিত রূপ পরিগ্ৰহ করে। 

এ সম্পর্কে ইবনে খালদুন বর্ণনা করেন যে, প্রথম প্রথম ইলমে কালামকে দার্শনিক রূপ প্রদান করা হয় নি। কেননা একদিকে মানুষের মধ্যে ফালসাফা বা দর্শনের চর্চা খুবই কম ছিল এবং যতটুকু চর্চা বিরাজমান ছিল তা থেকেও মুতাকাল্লিমীন (কালাম শাস্ত্রবিদগণ) এজন্য দূরে থাকতেন যে, তাঁরা সেটাকে শরী'আতের আকীদার পরিপন্থী বলে মনে করতেন। অতঃপর যুক্তিনির্ভর প্রমাণ প্রয়োগ করা হতে থাকে এবং নতুন নতুন দলীল উপস্থাপন করা হতে থাকে। এটাই ছিল নতুন পদ্ধতি, যাকে মুতাআখখিরীন-এর পদ্ধতি বলা হত এবং যাতে নব নব পদ্ধতি ও প্রমাণের অবতারণা করা হয়েছে। যদিও তাতে স্থান বিশেষে দার্শনিকদের চিন্তাধারায় প্রত্যাখ্যান বিদ্যমান ছিল, তথাপি মুতাআখখিবীন ইলমে কালামকে এমন রূপ প্রদান করেছিলেন যে, কালাম এবং ফালসাফা (দর্শন)-এর মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়ে। এতদুভয় পরস্পর মিলিত হয়ে যেন এক জিনিসে পরিণত হয়। 

আহমাদ আমীন ইলমে কালামের ব্যাপকতার দরুণ তাকে চার ভাগে বিভক্ত করেছেন এবং বলেছেন যে, এ ইলম কেবল দ্বীনি আকীদা সমূহের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণকে অন্তর্ভুক্ত করে না বরং তাতে আরও অনেক জিনিস ক্রমশ অন্তর্ভুক্ত হতে থাকে। যেমনঃ- 

১. ইলমে কালামের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ ইলাহিয়্যাত সংক্রান্ত বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা করা। যেমন আল্লাহ, তাঁর সত্ত্বা, তাঁর গুণাবলী এবং কার্যাবলী, আম্বিয়া এবং রাসূল ইত্যাদি। এই বিভাগকে আমরা সঠিক অর্থে ইলমে কালাম বলতে পারি।

২. ইলমে কালামের হিকমিয়া বিভাগ, যার সম্পর্ক অধিকতর তাবাইয়্যাত (পদার্থ বিজ্ঞান) এবং কীমিয়া (রসায়ন)-এর সাথে, যেমন জাওহার (মূল উপাদান), আরদ (আপতন), অবিভাজ্য অণু, গতি এবং স্থিতি এ বস্তুর বর্ণ, ঘ্রাণ, স্বাদ ইত্যাদি।

৩. ইলমে কালামের রাজনৈতিক বিভাগ, যাকে দ্বীনীরূপ প্রদান করা হয়েছে। যেমন ইমাম কে হতে পারে, ইমামতের শর্তাবলী কি আব্বাসী এবং উমাইয়ারা ইমাম হিসেবে কেমন ছিলেন এবং এ ধরনের নানা প্রশ্ন।

৪. ইলমে কালামের আকলী (যুক্তিগত) বিভাগ, ভাল ও মন্দ সম্পর্কে আলোচনা, মানবিক ইচ্ছা ও আকাংখার বিষয়, জ্ঞানগত উৎকৃষ্টতা ও নিকৃষ্টতা, ই'জাযুল কুরআন, ইজমা এবং কিয়াস ইত্যাদি। 
0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

ইলমে কালামকে প্রধানত দুটি ভাগে বিভক্ত করা যায়:

  • আকিদাহ বা বিশ্বাসগত বিষয়
  • আহকাম বা বিধানগত বিষয়

আকিদাহ হলো ইসলামের মূলনীতি ও বিশ্বাসের উপর আলোচনা। এর মধ্যে রয়েছে আল্লাহর অস্তিত্ব, তাঁর গুণাবলী, নবী-রাসূলদের মর্যাদা, পরকাল, ইত্যাদি।

আহকাম হলো ইসলামের বিধান ও আইনের উপর আলোচনা। এর মধ্যে রয়েছে ইবাদত, ব্যবসা-বাণিজ্য, পারিবারিক সম্পর্ক, ইত্যাদি।

এছাড়াও, ইলমে কালামকে নিম্নলিখিত উপায়েও বিভক্ত করা যায়:

  • আল-মাকুল বা যুক্তিভিত্তিক বিষয়
  • আল-মুতাওয়ারিদ বা আহলে সুন্নাহর ঐক্যমতের বিষয়
  • আল-মুনাজাদাহ বা দ্বন্দ্বমূলক বিষয়

আল-মাকুল হলো যুক্তি ও দর্শনের সাহায্যে প্রমাণিত বিষয়। এর মধ্যে রয়েছে আল্লাহর অস্তিত্ব, তাঁর গুণাবলী, ইত্যাদি।

আল-মুতাওয়ারিদ হলো আহলে সুন্নাহর ঐক্যমতের বিষয়। এর মধ্যে রয়েছে কুরআন ও সুন্নাহর মৌলিক বিষয়াবলী।

আল-মুনাজাদাহ হলো বিভিন্ন দলের মধ্যে মতবিরোধের বিষয়। এর মধ্যে রয়েছে তাওহীদ, রিসালাত, ইত্যাদি।

ইলমে কালামের আরও কিছু বিভাগ হলো:

  • ইলমুল কালামুল ইলাহী বা ঈশ্বরতাত্ত্বিক বিষয়
  • ইলমুল কালামুল নবুওয়াতী বা নবুওয়াতের বিষয়
  • ইলমুল কালামুল আখিরাতে বা পরকালের বিষয়
  • ইলমুল কালামুল ফিকহি বা ইসলামি আইনের বিষয়
  • ইলমুল কালামুল ইজতিহাদী বা ধর্মীয় বিধান নির্ধারণের বিষয়

ইলমে কালাম হলো ইসলামী ধর্মতত্ত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। এটি ইসলামের মূলনীতি ও বিশ্বাসকে সুশৃঙ্খলভাবে উপস্থাপন করে।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

2 টি উত্তর
1 টি উত্তর
2 নভেম্বর, 2023 "মাদ্রাসা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Muaz_Hajare
1 টি উত্তর
2 নভেম্বর, 2023 "মাদ্রাসা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Muaz_Hajare
2 টি উত্তর
5 নভেম্বর, 2023 "মাদ্রাসা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Muaz_Hajare
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
7 জুন, 2020 "ব্যকরণ" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Bodrul Alom
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
14 সেপ্টেম্বর, 2023 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন M.S.C_Safwana
1 টি উত্তর
28 ফেব্রুয়ারি, 2022 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
2 টি উত্তর
5 নভেম্বর, 2023 "ইসলামের ইতিহাস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Muaz_Hajare

34,053 টি প্রশ্ন

33,007 টি উত্তর

1,576 টি মন্তব্য

3,213 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
17 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 17 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 4553
গতকাল ভিজিট : 36222
সর্বমোট ভিজিট : 42777816
  1. MuntasirMahmud

    302 পয়েন্ট

    60 টি উত্তর

    2 টি গ্রশ্ন

  2. Limon54

    105 পয়েন্ট

    20 টি উত্তর

    5 টি গ্রশ্ন

  3. Kuddus

    85 পয়েন্ট

    17 টি উত্তর

    0 টি গ্রশ্ন

  4. TeddyAhsan

    71 পয়েন্ট

    4 টি উত্তর

    1 টি গ্রশ্ন

  5. Sijan855

    68 পয়েন্ট

    1 টি উত্তর

    13 টি গ্রশ্ন

এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
আজ বঙ্গাব্দ৷
...