ইলমে কালাম বা কালাম শাস্ত্রের সূচনা হয়েছিল ইসলামের প্রথম শতাব্দীতে। ইসলামের প্রাথমিক যুগে মুসলমানগণ কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত ইসলামের আকীদা সংক্রান্ত বিষয়গুলো মেনে নিয়েছিলেন। তাই তারা কুরআন ও হাদীস ব্যতীত অন্য কোন জ্ঞান চর্চার প্রতি দৃষ্টিপাত করেননি। কারণ এ ব্যাপারে তাদের ঈমান ছিল সহজ ও সরল অথচ খুবই দৃঢ় ও মজবুত। তাদের ঈমান ও বিশ্বাসের ব্যাপারে কোন জটিলতা ছিল না।
তবে দ্বিতীয় শতাব্দীতে ইসলামের বিস্তারের ফলে বিভিন্ন ধর্ম ও মতাদর্শের সাথে মুসলমানদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষে মুসলমানদের ইসলামী আকীদা সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন যুক্তি ও দর্শন প্রয়োজন হয়। এই প্রয়োজনীয়তা থেকেই ইলমে কালামের সূচনা হয়।
ইলমে কালামের প্রথমদিকের মুতাকাল্লিমগণ ছিলেন মূলত দার্শনিক। তারা ইসলামী আকীদাকে যুক্তি ও দর্শনের মাধ্যমে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। এই সময়ের উল্লেখযোগ্য মুতাকাল্লিমদের মধ্যে রয়েছেন:
-
ইমাম গাজালি (১০৫৮-১১১১)
-
ইমাম রাযী (৮৬৫-৯২৫)
-
ইমাম ইবনে খালদুন (১৩৩২-১৪০৬)
ইলমে কালামের ক্রমবিকাশের সাথে সাথে এর বিষয়বস্তুও বিস্তৃত হয়। কালাম শাস্ত্রে বর্তমানে ইসলামী আকীদা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে:
-
আল্লাহর অস্তিত্ব ও গুণাবলী
-
নবী-রাসূলের নবুওয়াত
-
কুরআন ও হাদীসের অভ্রান্ততা
-
আখিরাত ও পরকালীন জীবন
ইলমে কালাম ইসলামী আকীদা সংরক্ষণ ও প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এটি মুসলমানদেরকে তাদের বিশ্বাসের উপর দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকতে সাহায্য করেছে।