লিউকেমিয়া হলো রক্ত বা অস্থিমজ্জার ক্যান্সার। এটি শ্বেত রক্তকণিকার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। শ্বেত রক্তকণিকাগুলি সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করার জন্য দায়ী। লিউকেমিয়ায়, শ্বেত রক্তকণিকাগুলি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায় এবং স্বাভাবিক শ্বেত রক্তকণিকার কাজ করতে পারে না। ফলস্বরূপ, রোগী সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে।
লিউকেমিয়াকে সাধারণত তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। তীব্র লিউকেমিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং সাধারণত শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। দীর্ঘস্থায়ী লিউকেমিয়া ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
লিউকেমিয়ার লক্ষণ এবং উপসর্গ
লিউকেমিয়ার লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি রোগের ধরন এবং পর্যায়ের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণ লক্ষণ এবং উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে:
-
অতিরিক্ত ক্লান্তি
-
জ্বর
-
ঘন ঘন সংক্রমণ
-
অন্যান্য লক্ষণ এবং উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে:
-
মাথাব্যথা
-
ওজন হ্রাস
-
বুক ব্যথা
-
অ্যানিমিয়া
-
প্লীহা বা লিভারের বৃদ্ধি
লিউকেমিয়ার কারণ
লিউকেমিয়ার সঠিক কারণ অজানা। তবে, কিছু কারণ যা লিউকেমিয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে বলে মনে করা হয় সেগুলির মধ্যে রয়েছে:
-
পরিবেশগত কারণ যেমন বিকিরণ বা রাসায়নিকের সংস্পর্শ
-
জেনেটিক কারণ যেমন লিউকেমিয়ার পারিবারিক ইতিহাস
-
অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন ডাউন সিনড্রোম বা এপস্টাইন-বার ভাইরাস সংক্রমণ
লিউকেমিয়ার চিকিৎসা
লিউকেমিয়ার চিকিৎসার লক্ষ্য হলো ক্যান্সার কোষগুলিকে ধ্বংস করা এবং রোগীর সুস্থতা উন্নত করা। লিউকেমিয়ার চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
-
কেমোথেরাপি - কেমোথেরাপি হলো ক্যান্সার কোষগুলিকে ধ্বংস করার জন্য ব্যবহৃত ওষুধগুলির একটি গ্রুপ।
-
রেডিওথেরাপি - রেডিওথেরাপি হলো ক্যান্সার কোষগুলিকে ধ্বংস করার জন্য ব্যবহৃত বিকিরণ।
-
স্টেম সেল থেরাপি - স্টেম সেল থেরাপি হলো ক্যান্সার কোষগুলিকে ধ্বংস করার জন্য রোগীর নিজের স্টেম সেলগুলি ব্যবহার করা।
লিউকেমিয়ার চিকিৎসার নির্দিষ্ট পদ্ধতি রোগের ধরন, পর্যায় এবং রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হবে।
লিউকেমিয়ার প্রতিরোধ
লিউকেমিয়ার জন্য কোন নির্দিষ্ট প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেই। তবে, কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে যা লিউকেমিয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
-
ধূমপান এড়িয়ে চলুন
-
স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন
-
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
-
সূর্য থেকে নিজেকে রক্ষা করুন
-
**আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন