নিউমোনিয়া হল ফুসফুসের প্রদাহ। এটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাক দ্বারা সংক্রমণের কারণে হয়। নিউমোনিয়া ফুসফুসের বায়ু থলিকে প্রভাবিত করে, যা শ্বাস নিতে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।
নিউমোনিয়ার লক্ষণ এবং উপসর্গ
নিউমোনিয়ার লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি সংক্রমণের কারণ এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণ লক্ষণ এবং উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে:
-
জ্বর
-
কাশি
-
শ্বাসকষ্ট
-
বুকে ব্যথা
-
ক্লান্তি
-
ঠান্ডা লাগা
-
মাথাব্যথা
-
শরীরে ব্যথা
নিউমোনিয়ার কারণ
নিউমোনিয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল ব্যাকটেরিয়া। ভাইরাস এবং ছত্রাকও নিউমোনিয়ার কারণ হতে পারে। নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে এমন কিছু কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
-
ধূমপান
-
অসুস্থ বা দুর্বল ইমিউন সিস্টেম
-
অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা, যেমন হৃদরোগ বা ফুসফুসের রোগ
-
বয়স্ক বয়স
-
শিশু
নিউমোনিয়ার চিকিৎসা
নিউমোনিয়ার চিকিৎসার লক্ষ্য হলো সংক্রমণ নির্মূল করা এবং লক্ষণগুলি উপশম করা। নিউমোনিয়ার চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে:
-
অ্যান্টিবায়োটিক - ব্যাকটেরিয়া-ঘটিত নিউমোনিয়ার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন।
-
ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ - ভাইরাস-ঘটিত নিউমোনিয়ার জন্য ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ প্রয়োজন।
-
অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ - ছত্রাক-ঘটিত নিউমোনিয়ার জন্য অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রয়োজন।
নিউমোনিয়ার জন্য অন্যান্য চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:
-
অক্সিজেন - গুরুতর নিউমোনিয়ার রোগীদের অক্সিজেন দেওয়া যেতে পারে।
-
তরল - গুরুতর নিউমোনিয়ার রোগীদের তরল দেওয়া যেতে পারে।
-
ব্যথানাশক - ব্যথা এবং জ্বর উপশম করতে ব্যথানাশক দেওয়া যেতে পারে।
নিউমোনিয়ার প্রতিরোধ
নিউমোনিয়ার জন্য কোন নির্দিষ্ট প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেই। তবে, কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে যা নিউমোনিয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
-
ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং পোলিওর টিকা গ্রহণ করুন
-
ধূমপান এড়িয়ে চলুন
-
স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন
-
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
-
আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন
নিউমোনিয়ার জটিলতা
নিউমোনিয়া গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
-
সেপসিস - রক্তে সংক্রমণ
-
শ্বাসযন্ত্রের ব্যর্থতা - ফুসফুস স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারে না
-
ইন্টারস্টিশিয়াল নিউমোনিয়া - ফুসফুসের টিস্যুতে প্রদাহ
-
নিউমোথোরাস - ফুসফুসের চারপাশের ঝিল্লিতে চাপ বৃদ্ধি
নিউমোনিয়ার লক্ষণ এবং উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।