আল্লাহ তাআলা বলেন, মুহাম্মাদ তোমাদের কোন পুরুষের পিতা নয়; তবে আল্লাহর রাসূল ও সর্বশেষ নবী। আর আল্লাহ সকল বিষয়ে সর্বজ্ঞ। (সুরা আহযাবঃ ৩৩:৪০)।আল্লাহ বলেন: মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন পুরুষ মানুষের পিতা নন। বরং তিনি আল্লাহ তাআলার রাসূল এবং শেষ নাবী। মানুষেরা যখন যায়েদ (রাঃ) কে যায়েদ বিন মুহাম্মাদ নামে সম্বোধন করতে লাগল তখন তাদের এ সম্বোধনকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এ আয়াতটি নাযিল করা হয়।আল্লাহ তাআলা নিষেধ করছেন যে, এরপরে যেন যায়েদ ইবনে মুহাম্মাদ বলা না হয়। অর্থাৎ তিনি যায়েদ (রাঃ) এর পিতা নন। যদিও তিনি তাকে পুত্র বানিয়ে নিয়েছিলেন।রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর কোন পুত্র সন্তান প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া পর্যন্ত জীবিত থাকেননি। কাসেম, তাইয়েব ও তাহের নামক তার তিনটি পুত্র সন্তান হযরত খাদীজা (রাঃ) এর গর্ভজাত ছিলেন। কিন্তু তিনজনই শৈশবে ইন্তেকাল করেন।হযরত মারিয়াহ কিবতিয়াহ (রাঃ) এর গর্ভজাত একটি পুত্র সন্তান ছিলেন, তার নাম ছিল ইবরাহীম। তিনি দুগ্ধ পান অবস্থাতেই ইন্তেকাল করেন।হযরত খাদীজা (রাঃ) এর গর্ভজাত রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর চার কন্যা সন্তান ছিলেন। তারা হলেন হযরত যয়নাব (রাঃ), হযরত রুকাইয়া (রাঃ), হযরত উম্মে কুলসুম (রাঃ) ও হযরত ফাতিমা (রাঃ)। তাদের মধ্যে তিনজন তার জীবদ্দশাতেই ইন্তেকাল করেছিলেন। শুধুমাত্র হযরত ফাতিমা (রাঃ) তার ইন্তেকালের ছয় মাস পরে ইন্তেকাল করেছিলেন।