বারযাখ হলো একটি আরবি শব্দ, যার ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল পর্দা, আবরণ, ঢাকনা, বেড়া বা দেয়াল।ইসলামী পরিভাষায়, বারযাখ হলো মৃত্যু পরবর্তী কবরের রুহানী বা আত্বিক জীবন, যেখানে ব্যক্তি তার জীবনের কর্মফল প্রাথমিকভাবে ভোগ করে এবং কেয়ামত বা শেষ বিচারের দিন না আসাা পর্যন্ত এভাবে তা চলমান থাকে।আলমে বারযাখ বা বারযাখের জগত বলতে ওই জগতকে বোঝায়, যেখানে মানুষ মৃত্যুর পর হতে কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত অবস্থান করবে। যেহেতু সে জগতটি দুনিয়ার জগত হতে অন্তরালে বা আড়ালে আছে, এজন্য-ই তাকে বারযাখের জগত বলা হয়।মৃত্যুর পরপরই পৃথিবীর সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। আর আখেরাতের জীবন তখন শুরু হবে, যখন সমস্ত মানুষকে পুনর্বার জীবিত করা হবে। এর মধ্যকার জীবন যা কবরে বা পশু-পক্ষীর পেটে কিংবা পুড়িয়ে ছাই করে দিলে শেষ পর্যন্ত মাটির ধূলিকণা আকারে অতিবাহিত হয়, তাকে বারযাখী জীবন বলে। মানুষের এই অস্তিত্ব যেখানেই থাক আর যেভাবেই থাক, শেষ পর্যন্ত মাটিতে মিশে মাটিতে পরিণত হবে অথবা ছাই হয়ে হাওয়ায় উড়ে যাবে, অথবা সমুদ্রে ভাসিয়ে দেওয়া হবে অথবা কোন জন্তুর খাদ্যে পরিণত হবে। পরিশেষে মহান আল্লাহ সকলকে এক নতুন অস্তিত্ব দান করে হাশরের মাঠে জমা করবেন।অতএব, বারযাখ কোনো বিশেষ স্থানের নাম নয়। বরং মৃত্যুর পর মানবদেহ বা দেহের অংশসমূহ একত্রিতভাবে বা বিচ্ছিন্নভাবে যেখানে থাকবে ওই স্থানই তার জন্য কবর বা বারযাখ।