যে ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করে না আল্লাহর দীনকে স্বীকার করে না, তারাই কাফির মুশরিক। তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতের দুর্ভোগ এবং অনন্ত অসীম শাস্তি। এ কথা দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, ইসলামই হচ্ছে আল্লাহর মনোনীত দ্বীন বা সার্বজনীন ধর্ম। আর তা সত্য দ্বীন এবং এমন দ্বীন যা নিয়ে সমস্ত নবী ও রাসূলগণ আগমন করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, তিনি তার জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে মহান প্রতিদান প্রস্তুত করে রেখেছেন এবং যে তাঁর কুফরি করে, তাকে কঠিন শাস্তি দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَكَانُواْ يَتَّقُونَ ٦٣ لَهُمُ ٱلۡبُشۡرَىٰ فِي ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِۚ لَا تَبۡدِيلَ لِكَلِمَٰتِ ٱللَّهِۚ ذَٰلِكَ هُوَ ٱلۡفَوۡزُ ٱلۡعَظِيمُ ٦٤﴾ [يونس : ٦٣، ٦٤]
যারা ঈমান এনেছে এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তাদের জন্যই সুসংবাদ দুনিয়াবি এবং আখিরাতে। আল্লাহর বাণীসমূহের কোনো পরিবর্তন নেই। এটিই মহা সফলতা।
আর যেহেতু আল্লাহ বিশ্বজগতের স্রষ্টা, অধিপতি ও কর্তৃত্বকারী, আর আপনি মানুষ হলেন তাঁর একটি সৃষ্ট জীব। তাই তিনি আপনাকে সৃষ্টি করেন এবং বিশ্বজগতের অনেক কিছুকে আপনার অনুগত করেন, আপনার জন্য তাঁর বিধান রচনা করেন ও আপনাকে তাঁর আনুগত্য করার আদেশ দেন। সুতরাং আপনি যদি তাঁর উপর বিশ্বাস আনেন এবং তিনি আপনাকে যা আদেশ করেছেন তা পালন করেন, আর তিনি আপনাকে যা হতে নিষেধ করেছেন তা বর্জন করেন, তাহলে আল্লাহ আপনার সাথে আখিরাত দিবসে যে স্থায়ী নিয়ামতের ওয়াদা করেছেন তা লাভ করবেন। দুনিয়াতে যে সব বিভিন্ন প্রকার নেয়ামত আপনাকে দান করেছেন তা অর্জন করবেন। আর জ্ঞানের দিক দিয়ে যার সৃষ্টি পরিপূর্ণ এবং যাদের অন্তর অধিক পবিত্র যেমন; নবী, রাসূল, নেককার, ও সান্নিধ্যপ্রাপ্ত ফেরেশতামণ্ডলী, আপনি তাদের মত হলেন। আর যদি আপনার প্রভুর কুফরি করেন ও অবাধ্য হন, তাহলে তো আপনি আপনার দুনিয়া ও আখিরাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করলেন এবং দুনিয়া ও আখিরাতে আপনি তাঁর ঘৃণা ও আযাবকে গ্রহণ করলেন। আল্লাহ বলেন,
﴿قَدۡ خَسِرَ ٱلَّذِينَ كَذَّبُواْ بِلِقَآءِ ٱللَّهِ وَمَا كَانُواْ مُهۡتَدِينَ ٤٥﴾ [يونس : ٤٥]
তারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা আল্লাহর সাক্ষাৎ অস্বীকার করেছে, আর তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত ছিল না।