287 বার দেখা হয়েছে
"খাদ্য ও পুষ্টি" বিভাগে করেছেন

2 উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
গরুর মাংসের পুষ্টিগুণ শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ৯টি পুষ্টি উপাদান আছে গরুর মাংসে। এগুলো হল প্রোটিন, জিঙ্ক, ভিটামিন বি টুয়েলভ, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, নায়াসিন, ভিটামিন বি৬, আয়রন এবং রিবোফ্লাভিন। প্রোটিন শরীরের পেশি গঠনে ভূমিকা রাখে। জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফসফরাস দাঁত ও হাড়ের শক্তি বাড়ায়। আয়রন শরীরের পেশিতে অক্সিজেন প্রবাহে সহায়তা করে। ‘ভিটামিন বি টুয়েলভ’ খাদ্য থেকে শক্তি যোগান দেয়। ৩ আউন্স গরুর মাংস থেকে যে পরিমাণ জিংক আসে সেই পরিমাণ জিংক পেতে আপনাকে খেতে হবে ৩ আউন্স ওজনের ১১ টুকরা টুনা মাছ। এই পরিমাণ আয়রনের জন্য খেতে হবে ৩ আউন্স ওজনের ৭ টুকরা মুরগির বুকের মাংস। এই পরিমাণ আয়রনের জন্য খেতে হবে ৩ কাপ পালংশাক। এই পরিমাণ ‘রিবোফ্লাভিন’য়ের জন্য খেতে হবে ৩ আউন্স ওজনের আড়াই টুকরা মুরগির বুকের মাংস। এবং এই পরিমাণ ‘থায়ামিন’ এর জন্য খেতে হবে ৩ আউন্স ওজনের ২ টুকরা মুরগির বুকের মাংস। বাড়ন্ত শিশুদের জন্য গরুর মাংসের উপকারিতা বাড়ন্ত বা ‘টিনএইজার’দের সমর্থ ও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে গরুর মাংসের তুলনা নেই। শুধু শারীরিক বর্ধন নয়, বুদ্ধি-বৃত্তিক গঠন এবং রক্ত বর্ধনেও এটি ভূমিকা রাখে। ৩ আউন্স গরুর মাংসে আছে ৯-১৩ বছর বয়সি শিশুর দৈনিক চাহিদার ১২৫% ভিটামিন বি১২, ৯০% প্রোটিন, ৭৪% জিংক, ৪২% সেলেনিয়াম, ৩২% ভিটামিন বি৬, ৩২% আয়রন, ২৯% নায়াসিন, ২৩% রিবোফ্লাভিন এবং ১৬% ফসফরাস। গরুর মাংসে কোলেস্টেরল এর মাত্রা ৩ আউন্স ‘সিরলোইন’ ভাগের মাংসে কোলেস্টেরলের মাত্রা ৪৭ মিলিগ্রাম এবং ৩ আউন্স ‘রাউন্ড’ অঞ্চলের মাংসে কোলেস্টেরল এর মাত্রা ৫৩ মিলিগ্রাম। একজন সুস্থ মানুষের কোলেস্টেরল এর দৈনিক নিরাপদ মাত্রা হল ৩০০ মিলিগ্রাম। হৃদরোগীর জন্য ২০০ মিলিগ্রাম। সুতরাং ৩ আউন্স গরুর মাংসে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিরাপদ সীমার অনেক নিচে। একটি ডিমের কুসুমে আছে ২১২ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। তাই সব দোষ গরুর মাংসের একার না।
0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

গরুর মাংসের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতাঃ 

 গরুর মাংস অত্যন্ত মজাদার একটি খাবার।শুধু স্বাদেও নয় পুষ্টিগুণেও অতুলনীয়। আমিষের যোগান ভান্ডার সবচেয়ে বড় উৎস গরুর মাংস। তবে বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা ক্ষতিকর দিক গুলোর কথা মাথায় রেখে গরুর মাংস খাওয়া থেকে অনিহা প্রকাশ করছে। তবে সঠিক পরিমাণ গ্রহণে সুষম পুষ্টি সম্পূর্নরুপে পাওয়া যায়। 
প্রতিদিন গরুর মাংস খাওয়ার মাত্রা হল ৩ আউন্স বা ৮৫ গ্রাম। প্রতি পরিমাণ ৩ আউন্স থেকে আপনি পাবেন দৈনিক জিংকের ৩৪ শতাংশ। ভিটামিন বি এর প্রাকৃতিক উৎস গরুর মাংস। ভিটামিন -১ ( থায়ামিন) ৪ শতাংশ,ভিটামিন বি -২(রিবোফ্লাভিন) আছে ১৫ শতাংশ, বি-৩(নায়াসিন) আছে ৩৬ শতাংশ, বি-৬ আছে ২৯ শতাংশ, ভিটামিন বি-৯ (ফোলেট) আছে ২শতাংশ, বি-১২ আছে ১১০ শতাংশ। তাছাড়া শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ফ্যাট সল্যুুুবল ভিটামিন অর্থাৎ ভিটামিন- ডি ১ শতাংশ ভিটামিন- ই ৩ শতাংশবএবং ভিটামিন-কে ১ শতাংশ আছে গরুর মাংসে। ক্যালরি রয়েছে ২৫০ গ্রাম যার মধ্যে কোলেস্ট্ররল ৩০শতাংশ, সোডিয়াম ৩শতাংশ, পটাশিয়াম ৯ শতাংশ, কোলিন ১৭ শতাংশ। আরো রয়েছে মিনারেলস্ মধ্যে ক্যালসিয়াম -২ শতাংশ, কপার -৪৩ শতাংশ, আয়রণ -২০ শতাংশ, ম্যাগনেসিয়াম -৬ শতাংশ, ম্যাগানিজ -১ শতাংশ, ফসফরাস – ২৮ শতাংশ, সিলিয়াম-৩১ শতাংশ, সোডিয়াম- ৫ শতাংশ এবং জিংক – ৬৬ শতাংশ। 
সুতরাং বলা যায় গরুর মাংস অতি পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি খাবার। তবে বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কখনোই ভাল নয় এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। অবশ্যই রান্না এবং খাওয়ার সময় সুস্বাস্থ্যের কথা মনে রাখতে হবে। তবে দেহের সকল পুষ্টির যোগান দেয়া সম্ভব। গরুর মাংসের উপকারিতা গরুর মাংস প্রাণিজ আমিষের একটি ভালো উংস। রেড মিট নামেও বেশ পরিচিত গরুর মাংস। 

বাঙালির রসনা তৃপ্তিতে গরুর মাংসের কদর বহুকাল ধরে। বর্তমান সময়ে গরুর মাংসের খাওয়ার প্রতি আমাদের এক প্রকার ভীতি কাজ করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গরুর মাংসের উপকারিতা গুলো আমাদের অজানা। সঠিক পরিমাণ গ্রহণে মানবদেহের অনেক উপকারিতা মিলবে। 

গরুর মাংসে রয়েছে ভিটামিন বি-৬ রিবোফ্লাভিন, বি-১২ যা শরীরে শক্তি যোগায়। আরো আছে নায়াসিন,ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম,পটাশিয়াম এবং কপারের মতো মিনারেলস।যা হাড় ও দাঁত গঠনে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আয়রণের খুব ভালো উৎস গরুর মাংস। গরুর মাংস খাওয়ার ফলে আয়রণ শরীরে ভালভাবে শোষিত হয়।ফলে রক্তস্বল্পতা দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের শরীরে গড়ে ১৮ মি.গ্রা জিংক প্রয়োজন হয়ে। অনেকেই আছেন জিংকের অভাবে ভুগেন বিশেষত কিশোর- কিশোরিরা। গরুর মাংসে থাকা প্রায় ২৫ শতাংশ জিংক এই স্বল্পতা দূর করে।গরুর মাংসে থাকা জিংক শরীরের কোষ রক্ষনাবেক্ষন করে। তাছাড়া সেলেনিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই উপাদানটি গরুর মাংসে অধিক পরিমাণে পাওয়া যায়। গরুর মাংস প্রোটিনের জন্য একটি বিরাট উৎস। প্রথম শ্রেনীর উন্নতমানের প্রোটিন পাওয়া যায় গরুর মাংস থেকে। যা সুস্থ মাংসপেশি গঠন, মজবুত এবং শক্তিশালী করে থাকে।যা বর্ধনশীল বাচ্চা এবং টিনেজদের খুবই দরকার। এছাড়াও রয়েছে অ্যামাইনো এসিড যা আমাদের ত্বকে বিশেষ ভাবে সুস্থ রাখে। গরুর মাংসে আছে Conjugated Linoleic Acid (CLA) যা ক্যান্সার, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে যা গবেষণায় প্রমানিত হয়েছ। অনেকেই আছেন যাদের ওজন প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। সেক্ষেত্রে আপনি নিয়মিত গরুর মাংস খেতে পারেন, যদি না আপনার শারীরিক কোন সমস্যা থাকে। গরুর মাংসের অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই শরীরের সুস্থতার কথা খেয়াল রাখতে হবে। পরিমিত পরিমাণ সর্বদা সুস্থতার প্রতিক।।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
2 টি উত্তর
27 আগস্ট, 2021 "খাদ্য ও পুষ্টি" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন কেউ একজন
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
14 ফেব্রুয়ারি, 2021 "খাদ্য ও পুষ্টি" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Sagor Dipto
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
2 টি উত্তর
2 টি উত্তর
2 টি উত্তর

34,059 টি প্রশ্ন

33,009 টি উত্তর

1,579 টি মন্তব্য

3,214 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
36 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 36 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 17930
গতকাল ভিজিট : 32536
সর্বমোট ভিজিট : 42911178
  1. Tuhin_Islam

    50 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 টি গ্রশ্ন

  2. Kuddus

    5 পয়েন্ট

    1 টি উত্তর

    0 টি গ্রশ্ন

  3. Sijan855

    1 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    1 টি গ্রশ্ন

এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
আজ বঙ্গাব্দ৷
...