ব্লাড প্রেশার বেড়ে গেলে (হাইপারটেনশন) কিছু খাদ্য বর্জন করা উচিত এবং কিছু স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া উচিত। ব্লাড প্রেশার কমানোর জন্য নিচের খাদ্যগুলি বর্জন করা উচিত:
১. পতুর খাবার (Processed foods):
প্যাকেটজাত খাবার: প্যাকেটজাত খাবারে অনেক বেশি সোডিয়াম (লবণ) থাকে, যা ব্লাড প্রেশার বাড়ায়। যেমন স্ন্যাকস, ফাস্ট ফুড, প্রিজারভেটিভ বা কনসারভড খাবার।
রেড মিট (Red meat): খুব বেশি মাংস, বিশেষ করে ফ্যাটযুক্ত মাংসও ব্লাড প্রেশার বাড়াতে সাহায্য করে।
২. নুন বা সোডিয়াম (Salt/Sodium):
সোডিয়াম বেশি খাওয়ার ফলে শরীরে পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে, যার ফলে ব্লাড প্রেশার বৃদ্ধি পায়। তাই অতিরিক্ত লবণ খাবারে ব্যবহার করবেন না।
৩. ট্রান্স ফ্যাট (Trans fats):
খাবারে ট্রান্স ফ্যাট বা হার্ডেনড ফ্যাট থাকলে তা হার্টের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, যা ব্লাড প্রেশার বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন ডোনাট, বেকড পণ্য, এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারে ট্রান্স ফ্যাট থাকে।
৪. চিনি বা মিষ্টি খাবার:
অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি খাবার খাওয়ার কারণে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা উচ্চ রক্তচাপের সাথে সম্পর্কিত।
৫. অ্যালকোহল:
বেশি অ্যালকোহল খাওয়ার কারণে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে, তাই সীমিত পরিমাণে অ্যালকোহল গ্রহণ করা উচিত।
৬. ক্যাফেইন (Caffeine):
অতিরিক্ত ক্যাফেইন (যেমন কফি বা শক্তিশালী চা) রক্তচাপ বাড়াতে পারে, তাই এটি কম পরিমাণে খাওয়া উচিত।
৭. ফাস্ট ফুড ও তৈলাক্ত খাবার:
ফাস্ট ফুড, ভাজা খাবার বা অত্যধিক তৈলাক্ত খাবারও রক্তচাপ বাড়ানোর কারণ হতে পারে। এসব খাবারে সাধারণত খারাপ ফ্যাট এবং সোডিয়াম থাকে।
খাদ্য বর্জনের পাশাপাশি, উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন, শস্য এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এছাড়া, পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।