মদ্দ অর্থঃ-
মদ্দ অর্থ টেনে পড়া।
বিস্তারিত বিবরণঃ-
মদ্দের হরফ ৩টি। যথাঃ-
১/ যবরের বামপাশে খালি আলিফ মদ্দের হরফ بَا
২/ পেশের বামপাশে জঝমওয়ালা ওয়াও মদ্দের হরফ بُوْ
৩/ যেরের বামপাশে জঝমওয়ালা ইয়া মদ্দের হরফ بِيْ
মদ্দের হরফ হলে ডানদিকের হরকতকে এক আলিফ পরিমাণ টেনে পড়তে হয়।
এটাকে মদ্দে ত্ববায়ী বলা হয়।
মদ্দ মোট ১০ প্রকার।
ক) এক আলিফ মদ্দ ৩ প্রকার।
১/ মদ্দে ত্ববায়ী।
২/ মদ্দে বদল।
৩/ মদ্দে লীন।
মদ্দে বদলঃ- হামজাহ্ এর হরকতকে এক আলিফ পরিমাণ টেনে পড়ার নাম মদ্দে বদল। ءٰ
মদ্দে লীনঃ- লীনের হরফের বামের হরফে ওয়াকফ হলে মদ্দে লীন। ডান দিকের হরকতকে এক আলিফ পরিমাণ টেনে পড়তে হয়। خَوْفٍٍ ، بَيْتٍ
( লীনের হরফ ২ টি।
যবরের বামপাশে জঝমওয়ালা ওয়াও লীনের হরফ। بَوْ
যবরের বামপাশে জঝমওয়ালা ইয়া লীনের হরফ। بَيْ
মদ্দের হরফ আর লীনের হরফের মধ্যে পার্থক্য প্র্যাক্টিক্যালি উস্তাদ থেকে ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে।)
খ) তিন আলিফ মদ্দ ২ প্রকার।
১/ মদ্দে আরযীঃ- মদ্দের হরফের বামের হরফে ওয়াকফ হলে মদ্দে আরযী। ডানদিকের হরকতকে তিন আলিফ পরিমাণ টেনে পড়তে হয়।
যথাঃ- يَرْجِعُوْنَ
২/ মদ্দে মুনফাছিলঃ- মদ্দের হরফের উপর চিকন চিহ্ন ( ٓ ) বামে হামজাহ্, মদ্দে মুনফাছিল। ডানদিকের হরকতকে তিন আলিফ পরিমাণ টেনে পড়তে হয়।
যথাঃ- لَآ اَعْبُدُ
গ) চার আলিফ মদ্দ ৫ প্রকার।
১/ মদ্দে লাযিম হরফী মুখাফফাফঃ- হরফের উপর মোটা চিহ্ন, বামে তাশদীদ না থাকলে মদ্দে লাযিম হরফী মুখাফফাফ। হরফের নাম চার আলিফ পরিমাণ টেনে পড়তে হয়।
যথাঃ- ق ن ص
২/ মদ্দে লাযিম হরফী মুসাক্কালঃ- হরফের উপর মোটা চিহ্ন, বামে তাশদীদ, মদ্দে লাযিম হরফী মুসাক্কাল। হরফের নাম চার আলিফ পরিমাণ টেনে পড়তে হয়।
যথাঃ- المّ ، طسمّ
৩/ মদ্দে লাযিম কালমী মুসাক্কালঃ- কালিমার মধ্যে মদ্দের হরফের উপর মোটা চিহ্ন, বামে তাশদীদ, মদ্দে লাযিম কালমী মুসাক্কাল। ডানদিকের হরকতকে চার আলিফ পরিমাণ টেনে পড়তে হয়।
যথাঃ- دَابَّةٍ ، ضَالًّا
৪/ মদ্দে লাযিম কালমী মুখাফফাফঃ- কালিমার মধ্যে মদ্দের হরফের উপর মোটা চিহ্ন, বামে জঝম, মদ্দে লাযিম কালমী মুখাফফাফ। ডানদিকের হরকতকে চার আলিফ পরিমাণ টেনে পড়তে হয়। মদ্দে লাযিম কালমী মুখাফফাফ শুধু একটি কালিমা সমগ্র কুরআন শরীফে দুই জায়গায় আছে।
যথাঃ- اٰلْاٰنَ
৫/ মদ্দে মুত্তাসিলঃ- মদ্দের হরফের উপর মোটা চিহ্ন, বামে হামজাহ্, মদ্দে মুত্তাসিল। ডানদিকের হরকতকে চার আলিফ পরিমাণ টেনে পড়তে হয়।
যথাঃ- جَاءَ ، شَاءَ