ফল কখন খাবো ভরাপেটে না খালিপেটে? – এই বিষয়ে আমাদের দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকে সবসময়ই। টাটকা ফলমূল নানান পুষ্টিগুনে ভরপুর। শরীরের ক্ষয় পূরণে নিয়মিত ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে সময় না বুঝে ফল খেলে উপকারের চেয়ে বরং ক্ষতির ভয়ই থাকে বেশি। তাই হয়ত অধিকাংশ চিকিৎসকই খালি পেটে ফল খেতে নিষেধ করেন। ফলকে একটি পরিপূর্ণ খাবার বলা যায়। কারন অনেক ধরনের ফল খেলে পেট একেবারে ভরে যায়। তাই প্রধান খাবারের সঙ্গে ফল না খাওয়াই ভালো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফল খাওয়া উচিৎ নয়। কারণ এতে শর্করার সঙ্গে কার্বোহাইড্রেট আর ব্যাকটেরিয়া মিশে যায়। ফলে শরীরের হজমশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
চিকিৎসাশাস্ত্রে আরো বলা হয়, ফলের সঙ্গে যদি উচ্চমানের প্রোটিন খাওয়া হয় তবে শরীরে থাকা শর্করা আরও সক্রিয় হয়ে ওঠার আশঙ্কা থাকে। ফলে এটি হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। মূল খাবার খাওয়া ও ফল খাওয়ার মধ্যে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা ব্যবধান রাখতে হবে।
তাহলে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়ে যায় ফল খাবেন কখন? সকালে এক গ্লাস পানি খাওয়ার পর ফল খেতে পারেন, যেমন- কলা, আপেল, নাশপাতি, জাম, বেদানা। এ ধরনের ফল খালিপেটে খেলে শরীরের ভিতরের কার্যক্রমে সহায়তা করে। এগুলো শরীরে শক্তি জোগায়। সেই সঙ্গে ওজন কমতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, সাইট্রাস জাতীয় কিছু ফল রয়েছে, যেমন- আঙ্গুর, কমলা, বাতাবীলেবু। এ ধরনের ফলগুলো খেলে অ্যাসিডিটি বাড়তে পারে। এছাড়া সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার এবং সন্ধ্যায় কিছু খাওয়ার আগে ফল খাওয়া উচিত, খাওয়ার পরে নয়। মূল খাবার খাওয়ার আগে ফল খেলে পাকস্থলীতে ক্যালরি কিছুটা কম জমা হয়। ফল খেলে পেট তুলনামূলক ভরা লাগে এবং তা হজমেও সহায়তা করে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফল না খাওয়াই ভালো বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা, ফলের শর্করা শরীরকে সক্রিয় করে। এতে ঘুম বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তাই ঘুমের অন্তত দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।