উভয় ঈদের নামাজই দু'রাকাত করে। এ দু'টি নামাজের জন্য আযান ও তাকবীর নেই । এ নামাজ সাধারণত বাংলাদেশে দুইভাবে আদায় করা হয়৷ যথা: হানাফী তরিকা, মোহাম্মদীয় তরিকা৷ নিচে হানাফী মাযহাবের আলেমদের মতে নামাজের পদ্ধতি তুলে ধরা হলো-
প্রথমে এভাবে নিয়ত করবে যে, আমি ঈদুল ফিতর অথবা ঈদুল আযহার ওয়াজিব নামাজ অতিরিক্ত ছয় তাকবীরের সাথে এই ইমামের পিছনে পড়ছি। তারপর তাকবীরে তাহরীমা বলে যথারীতি হাত বেঁধে নেবে এবং ছানা পড়বে । তারপর কান পর্যন্ত উভয় হাত তুলতে তুলতে “আল্লাহু আকবার” বলে হাত দু'টি ছেড়ে দেবে। পুনরায় দ্বিতীয়বার কান পর্যন্ত হাত তুলে “আল্লাহু আকবার” বলবে এবং হাত ছেড়ে দেবে। পুনরায় তৃতীয়বার কান পর্যন্ত হাত তুলে “আল্লাহু আকবার” বলবে এবং হাত বেঁধে নেবে। অতঃপর ইমাম সাহেব আস্তে আস্তে আউযুবিল্লাহি মিনাশ শ্বাইত্ব-নির রজীম বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়বেন। এরপর জোরে জোরে সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা পড়ে রুকূ' করবেন।
এরপর দ্বিতীয় রাকাতের উদ্দেশ্যে যখন দাঁড়াবে তখন ইমাম সাহেব প্রথমে কেরাত পড়বেন। কেরাত হতে অবসর হয়ে কান পর্যন্ত হাত তুলে তাকবীর বলবেন এবং হাত ছেড়ে দেবেন। আবার কান পর্যন্ত হাত তুলে দ্বিতীয় তাকবীর বলবেন এবং হাত ছেড়ে দেবেন। অতঃপর আবারও কান পর্যন্ত হাত তুলে তৃতীয়বার তাকবীর বলবেন এবং হাত ছেড়ে দেবেন। অতঃপর হাত না তুলে চতুর্থ তাকবীর বলে রুকুতে চলে যাবেন এবং যথারীতি নামাজ পূর্ণ করবেন। অতঃপর (নামাজ শেষে) ইমাম দাঁড়িয়ে খুতবা পড়বেন এবং সবাই নীরবে বসে তা শুনবে । দুই ঈদের নামাজে জুমার মতো দু'টি খুতবা রয়েছে এবং উভয় খুতবার মাঝে বসা সুন্নত।