তাহাজ্জুদের নামাজ নফল নামাজ। এটি ফরজ নামাজের পরেই সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ নফল নামাজ। তাহাজ্জুদ নামাজের হুকুম সুন্নাতে মুআক্কাদ। অর্থাৎ, নবী করিম (সা.) এ নামাজ নিয়মিত পড়তেন এবং উম্মতকেও এ নামাজ পড়ার জন্য উৎসাহিত করতেন।
তাহাজ্জুদের নামাজের রাকাত সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়। সর্বনিম্ন দুই রাকাত এবং সর্বোচ্চ আট রাকাত পড়া উত্তম। তবে এর বেশিও পড়া যায়। নবী করিম (সা.) কখনও চার রাকাত, কখনও আট রাকাত এবং কখনও বারো রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন।
তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার সময় হলো রাতের শেষ তৃতীয়াংশ। তবে ঘুম থেকে না জাগার সম্ভাবনা থাকলে ইশার নামাজের পর দুই রাকাত সুন্নত ও বিতরের আগে তা পড়ে নেয়া জায়েজ আছে।
তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার নিয়ম অন্যান্য ওয়াক্তের নামাজের মতোই। তবে তাহাজ্জুদের নামাজে দীর্ঘ কেরাতে পড়া উত্তম।
তাহাজ্জুদের নামাজের ফজিলত অনেক। এ নামাজ পড়লে আল্লাহ তাআলা বান্দার গুনাহ মাফ করে দেন, বান্দার দুআ কবুল করেন এবং বান্দার জন্য জান্নাতের সুসংবাদ দেন।
তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার জন্য নিম্নলিখিত নিয়মগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:
-
ইশার নামাজ আদায়ের পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন।
-
রাতের শেষ তৃতীয়াংশে ঘুম থেকে উঠুন।
-
ওযু করে তাহাজ্জুদের নামাজের জন্য দাঁড়ান।
-
দুই রাকাত করে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ুন।
-
প্রতি রাকাতে সুরা ফাতেহা ও অন্য যেকোনো সুরা পড়ুন।
-
দীর্ঘ কেরাতে পড়ার চেষ্টা করুন।
-
নামাজ শেষে দোয়া করুন।
তাহাজ্জুদের নামাজ মুমিন মুসলমানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এ নামাজ পড়ে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করা যায় এবং জান্নাতের সুসংবাদ লাভ করা যায়।