366 বার দেখা হয়েছে
"ফতোয়া" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

রোজা মুসলমানদের ৫টি ফরজ স্তম্ভের একটি। বয়ো:প্রাপ্ত সবার জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু ফরয কাজে আমি নিষেধ করার কেউ নই যতক্ষন আপনি সুস্থ থাকেন। রোজা রাখবেন কি রাখবেন না সেটা আপনার এবং গর্ভস্থ বাচ্চার অবস্থার উপর নির্ভর করবে। আসুন দেখি বিজ্ঞান এবং ধর্ম কি বলে?

বৈজ্ঞানিক দর্শন: গর্ভবতী রোজাদার এবং রোজাদার নন এমন মহিলাদের নিয়ে গবেষনায় দেখা গেছে যে রোজায় গর্ভস্থ শিশুর গ্রোথ, ডেভেলপমেন্ট এবং জন্মকালীন ওজনের কোন উল্লেখযোগ্য ব্যবধান নেই। সব মহিলাদের বাচ্চাদের ওজন, দৈর্ঘ্য এবং মাথার বেড় সমান। বাচ্চা মায়ের পুষ্টি নিয়ে বেড়ে ওঠে। তাই নিজের শরীর স্বাস্থ্য ভাল থাকলে বাচ্চার ডেভেলপমেন্টে কোন অসুবিধে হয় না। তবে ফার্স্ট ট্রাইমেস্টারে অর্থাৎ প্রেগন্যান্সির প্রথম তিনমাসে রোজা রাখলে কম জন্ম ওজন হবার সম্ভাবনা ১.৫ গুন বেশী হলেও সেটা কোন উল্লেখযোগ্য ব্যবধানও নয় এবং যা কোন উল্লেখযোগ্য প্রভাবও ফেলে না। ধারনা করা হয় ভবিষ্যতে বুদ্বিমত্তার ঘাটতি থাকতে পারে তবে তার কোন শক্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। দীর্ঘ দিবসের রোজার সময়ে যদি পানির অভাবে ডিহাইড্রেশন হয় এবং শারিরীক অবস্থার অবনতি হয় তাহলে চিকিৎসক মনে করলে রোজা রাখতে বারন করতে পারেন। এ ছাড়াও শারিরীক যে কোন অসুস্থতার জন্য রোজা রাখা যাবে না। তবে সম্পূর্ন সুস্থ এবং সক্ষম মহিলাদের জন্য রোজা বারন নয়। 

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা: পূর্ন রোজা করেও নিজের বা বাচ্চার কোন অসুবিধে হয়নি।

ধর্মীয় দর্শন: যদি কোন মহিলা গর্ভস্থ বাচ্চার জন্য ভীত থাকেন, নিজের শরীরের জন্য ভীত থাকেন, রোজা রাখতে খুব বেশী কষ্ট অনুভব করেন তাহলে রোজা রাখা যাবে না।

কিন্তু কোন কারন ছাড়া সক্ষম মহিলাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। কথা হচ্ছে রোজার কোন ক্ষমা নেই। তাই মেকআপ করে দিতে হবে। জেনুইন গ্রাউন্ডে রোজা বাদ দিলে প্রেগন্যান্সি শেষে পরবর্তী রমজান আসার আগে একটির বদলে একটি রোজা রাখতে হবে। অথবা একটি রোজার জন্য দু'জন গরীব লোককে একবেলা খাওয়াতে হবে অথবা একজনকে দু'বেলা খাওয়াতে হবে অথবা সমমূল্যের টাকা দিতে হবে খাবারের জন্য। কোন কোন স্কলারের মতে দু'টোই করতে হবে। কিন্তু রোজা রেখে যদি কারও কোন অসুবিধে না হয় এবং ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা বাদ দেয় তাহলে কাফফারা দিতে হবে। সেটি হলো: একটি রোজার বদলে 

১) ৬০ টি ধারাবাহিক রোজা রাখতে হবে

২) না পারলে ৬০ জন গরীব লোককে সারাদিনের খাবার দিতে হবে অথবা ১ জনকে ৬০ দিনের খাবার দিতে হবে। 

৩) অথবা ৬০ জনকে ১.৬ কেজি গম বা সমমূল্য মানের সমান টাকা দিতে হবে যা দ্বারা খাবার কেনা নিশ্চিত করতে হবে। অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না। আর একটি হাদিস আছে যে একজন দাস বা বন্দীকে মুক্ত করে দিতে হবে। যেটার কথা প্রথমেই বলা আছে তবে সবার জন্য প্রযোজ্য কিনা ভেবে দেখতে হবে। 

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
11 মার্চ, 2023 "নারী স্বাস্থ্য" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
20 ফেব্রুয়ারি, 2021 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন তানহা
1 টি উত্তর
2 টি উত্তর
1 টি উত্তর
19 জানুয়ারি, 2024 "ফুটবল" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
16 মার্চ, 2023 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Abdul_Awal
1 টি উত্তর
2 টি উত্তর
1 টি উত্তর
28 এপ্রিল, 2021 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Kuddus
1 টি উত্তর
28 এপ্রিল, 2021 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Kuddus
2 টি উত্তর

36,285 টি প্রশ্ন

35,495 টি উত্তর

1,742 টি মন্তব্য

3,816 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
15 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 15 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 18247
গতকাল ভিজিট : 31276
সর্বমোট ভিজিট : 53554299
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...