ঔষধের স্যাম্পল বলে একটা বিষয় আমাদের ঔষধ শিল্পের উৎপাদন ও বিপনন ব্যাবস্থায় বৈধভাবে স্থান করে আছে অনেক দিন ধরে। আমরা যতদুর জানি এই স্যাম্পল এর ওষুধ বিনা ট্যাক্স এ বাজারে আসে, অর্থাৎ টাক্স ফ্রি। স্যাম্পল এর ঔষধ ডাক্তারদের মাঝে বিলি করার জন্য প্রায় সকল ঔষধ কোম্পানিরই একটি করে ভালো দক্ষ ও উচ্চশিক্ষিত M P O গ্রুপ আছে যাদেরকে স্থানীয় ভাষায় রিপ্রেজেন্টিটিভ বলা হয়।
এখন দেখার বিষয় হল:
ডাক্তারগণ এই স্যাম্পল দিয়ে কী করবেন?
ক) হয়ত নিজেরা খাবেন
খ) বা যদি এই স্যাম্পল না খাবেন তাহলে এই স্যাম্পল দিয়ে কি করবেন ? কেই বা খাবে ?
গ) হয়ত রোগীকে খাওয়ায়ে দেখবেন; ঔষধের গুণাগুণ ঠিক আছে কিনা, পার্শপ্রতিক্রিয়া কেমন?
কিন্তু আজকের দিনে বিশ্বের কোথাও এই সুযোগ নেই। কারন এই আধুনিক বিজ্ঞান এর যুগে যে কোন একটি ঔষধকে বাজার জাত করার পূর্বে ল্যাবরেটরিতে, প্রানীদেহে এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে মানবদেহেও বিভিন্ন রকম পরীক্ষানিরীক্ষা, Clinical Trial এর পর বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ও জাতীয় মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক ঔষধের গুণাগুণ, কার্য্যকারিতা,ও নিরাপদ কিনা সে বিষয়ে সার্টিফিকেট নিয়ে বাজারে আসতে হয়।
আর সাধারনত কোন একটি ঔষধের এক সেট স্যাম্পল এ এত পর্যাপ্ত পরিমান ঔষধ থাকে না যা দিয়ে কোন একটি ঔষধ একজন রোগীর উপর পরীক্ষা করা যায়। একটা বিশেষ শ্রেণীর রোগীর উপর পরীক্ষা তো অনেক পরের কথা।
তাই প্রচলিত আইনে স্যাম্পল ঔষধ বাজারে বিক্রয় নিষেধ। ধরা পড়লে শাস্তি, জরিমানা। যেহেতু ট্যাক্স ফ্রি অথচ শেষমেশ বাজারেই বিক্রি হয়, সরকার কিছু রাজস্ব হারায়। স্যাম্পলের নামে কারখানার বাইরে এনে ট্যক্স ফাঁকি দিয়ে বিক্রির একটা সুযোগ থেকেই যায়।
উপরোক্ত বিবরণ ও তথ্য মতে, ইসলামী শরীয়াহর দৃষ্টিতেও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ডাক্তার বা দোকানীর বেচা-কেনা বৈধ নয়, গোনাহ হবে। তবে বিক্রয়লব্ধ অর্থ হালাল হবে।