ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়মঃ-
সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দিনে দুইবার ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। যেকোনো দুইবেলা খাবার খাওয়ার পর ইসবগুলের ভুসি খাওয়া সবচেয়ে উত্তম। মনে রাখা জরুরি, ইসবগুলের ভুসি খেলে সারাদিনে অন্তত দুই লিটার পানি পান করতে হবে। ইসবগুলের ভুসি খেয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়ার ফলে গলনালি এবং অন্ধ্রের মুখ আটকে যায়, অর্থাৎ পরিপাকতন্ত্রে খাবারের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে।
ইসবগুলের ভুসি কখন খাওয়া যাবে না?
কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। এমন ৭টি বিশেষ সময়ের কথা নিচে তুলে ধরা হলো-
১. ঘুমানোর ঠিক আগে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া ঠিক নয়। এতে করে ঘুমের সময় বৃহদান্ত্রের (শরীরের যে অংশে মল তৈরি হয়।) মুখ ভুসি জমে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে অবস্ট্রাকশন বলা হয়।
অবস্ট্রাকশন একটি ইমারজেন্সি স্বাস্থ্য জটিলতা, এমনটা হলে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে যেতে হয়। আপনার আগে কখনও এমনটা হয়ে থাকলে ইসবগুলের ভুসি খাবেন না।
২. কোনো কারণে পেটেব্যথা, বমিবমি ভাব বা বমি হয়।
৩. আগে কখনও ইসবগুলের ভুসি খেয়ে শরীরে কোনো ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়।
৪. দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে পায়খানা জমে পায়ুপথের মুখে আটকে যায়।
৫. মলত্যাগের ধরণ বা অভ্যাসে যদি হঠাৎ কোনো লক্ষণীয় পরিবর্তন আসে এবং তা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয়।
৬. আগে থেকেই পায়ুপথ দিয়ে রক্ত যায়, যার কারণ এখনও পরিষ্কার নয়।
৭. বৃহদান্ত্রের মাংসপেশির দুর্বলতা (Colonic Atony) বা ধীরগতি জনিত কোনো রোগ থাকে।
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া একটানা দীর্ঘদিন ইসবগুলের ভুসি খাওয়া ঠিক নয়। এতে ডায়রিয়া ও অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। একটানা ৩ দিন ইসবগুলের ভুসি যাওয়ার পর কোষ্ঠকাঠিন্যের উন্নতি না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।