প্রচলিত নির্বাচনের কিছু দিক শরীয়তের সাথে সাংঘর্ষিক। এর মধ্যে রয়েছে:
-
নির্বাচিত ব্যক্তির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা: ইসলামে, শাসক হতে হলে একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই মুসলিম, প্রাপ্তবয়স্ক, জ্ঞানী,নৈতিক ও যোগ্য হতে হবে। প্রচলিত নির্বাচনে, এই যোগ্যতাগুলি সবসময় পূরণ করা হয় না। উদাহরণস্বরূপ, অনেক ক্ষেত্রে,নির্বাচিত ব্যক্তিরা অমুসলিম, অল্পবয়সী বা নৈতিকভাবে দুর্বল।
-
নির্বাচনের পদ্ধতি: ইসলামে, শাসক নির্বাচনের জন্য একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি নির্ধারিত নেই। তবে, নির্বাচনটি অবশ্যই জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হবে এবং এটি অবশ্যই ন্যায্য ও সুষ্ঠু হতে হবে। প্রচলিত নির্বাচনের পদ্ধতিগুলি প্রায়শই এই মানগুলি পূরণ করে না। উদাহরণস্বরূপ, অনেক ক্ষেত্রে, নির্বাচনগুলি দুর্নীতিগ্রস্ত হয় এবং জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলিত হয় না।
-
নির্বাচনের উদ্দেশ্য: ইসলামে, শাসক নির্বাচনের উদ্দেশ্য হল জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা। প্রচলিত নির্বাচনগুলি প্রায়শই এই উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হয়। উদাহরণস্বরূপ, অনেক ক্ষেত্রে, নির্বাচিত ব্যক্তিরা ব্যক্তিগত স্বার্থ বা গোষ্ঠী স্বার্থের জন্য ক্ষমতা ব্যবহার করে।
তবে, প্রচলিত নির্বাচনের কিছু দিক শরীয়তের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে:
-
জনগণের অংশগ্রহণ: ইসলামে, জনগণের শাসনব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। প্রচলিত নির্বাচন জনগণের এই দায়িত্ব পালনের একটি উপায়।
-
শাসনব্যবস্থার স্থিতিশীলতা: ইসলামে, একটি স্থিতিশীল শাসনব্যবস্থা প্রয়োজন। প্রচলিত নির্বাচন একটি স্থিতিশীল শাসনব্যবস্থা গঠনের একটি উপায়।
অবশেষে, প্রচলিত নির্বাচনের শরীয়ত সম্মততা একটি জটিল বিষয়। এই বিষয়ে বিভিন্ন ইসলামী পণ্ডিতদের ভিন্ন মতামত রয়েছে। কিছু পণ্ডিত মনে করেন যে প্রচলিত নির্বাচন শরীয়তের সাথে সম্পূর্ণভাবে সাংঘর্ষিক, অন্যরা মনে করেন যে এটি কিছু ক্ষেত্রে শরীয়ত সম্মত হতে পারে।
বাংলাদেশের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে, প্রচলিত নির্বাচন একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। এই পদ্ধতিটিতে কিছু সমস্যা থাকলেও, এটি একটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা গঠনের একটি উপায়।