মুক্তিবেগ বলতে এমন একটি বেগকে বুঝানো হয় মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রে যে মানের বেগে নিক্ষিপ্ত কোন বস্তুর গতিশক্তি ও মহাকর্ষীয় বিভবশক্তির সমষ্টি শুন্য হয়। মুক্তিবেগে কোন বস্তুকে কোন মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র থেকে শুন্যে ছুড়ে দেয়া হলে তা আর ঐ মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রে ফিরে আসে না।
মুক্তিবেগের রাশিমালা হল:
যেখানে,
-
ve হল মুক্তিবেগ
-
G হল মহাকর্ষীয় ধ্রুবক (G = 6.67 × 10^-11 m^3 kg^-1 s^-2)
-
M হল মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের কেন্দ্রের বস্তুর ভর
-
r হল বস্তুর অবস্থান থেকে মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের কেন্দ্রের দূরত্ব
পৃথিবীর ক্ষেত্রে মুক্তিবেগের মান হল প্রায় 11.2 কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড। অর্থাৎ, পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে কোনো বস্তুকে এই বেগে ছুড়ে দিলে তা আর পৃথিবীর মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র থেকে বেরিয়ে যাবে।
মুক্তিবেগ বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ,
-
মহাকাশযান মহাকাশে পাঠানোর জন্য
-
রকেট উৎক্ষেপণের জন্য
-
গোলাবর্ষণের জন্য
মুক্তিবেগ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা যা মহাকাশ বিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।