মথি, মার্ক, লুক ও যোহন- এই চারজনের মধ্যে যোহন সম্পর্কে নিশ্চিত যে, তিনি হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম এর সাথী তথা সাহাবী ছিলেন। অবশিষ্ট তিন জন সম্পর্কে গবেষকদের মত হল তারা হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম এর শিষ্য নন।
ডঃ মরিচ বুকাইলি লিখেছেন-যোহন যীশুর সঙ্গী ছিলেন, তবে তিনি তার সুসমাচার লিখেছেন অনেক পরে। তার রচিত সুসমাচারের স্বীকৃত পাঠ রচিত হয়েছে প্রথম শতাব্দির শেষ দিকে। সময়ের দিক থেকে যীশুর আবির্ভাবের প্রায় ৬০ বৎসর পর। তদুপরি তার সুসমাচারের অনেক অংশই তার রচনা নয়। বরং অন্য অজ্ঞাত লেখকদের রচনাও এর সাথে জুড়ে দেয়া হয়েছে। এ কথা সবাই স্বীকার করেছেন।
আর মার্ক সম্পর্কে তিনি লিখেছেন- এ কথা সর্ববাদী সম্মত যে, মার্ক কস্মিনকালেও যীশুর শিষ্য ছিলেন না। বরং তিনি ছিলেন জনৈক প্রেরিতের একজন শিষ্য। (ও. ক্যালম্যান)
আর মথি সম্পর্কে তিনি লিখেছেন- মথি যীশুর শিষ্য ছিল বলে তার যে পরিচিতি ছিল তা এখন মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। মথির সাথে যীশুর সাক্ষাত হয়েছিল এই অভিমত এখন পরিত্যাক্ত হয়েছে। তদুপরি তার রচনায় মার্ক এর সুসমাচার থেকে প্রচুর বিষয় গ্রহণ করা হয়েছে। অথচ পূর্বে বলা হয়েছে এ কথা সর্ববাদী সম্মত যে, মার্ক কস্মিনকালেও যীশুর শিষ্য ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন জনৈক প্রেরিতের একজন শিষ্য। (ও. ক্যালম্যান)
আর লুক সম্পর্কে তিনি লিখেছেন- লুক থিয়াফলের নামে লিখিত উৎসর্গ পরে প্রথমেই পাঠকবর্গকে এ মর্মে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, অন্যেরা যীশুখ্রীস্ট সম্পর্কে যা যা লিখেছেন, সে সব অনুসরণ করেই তিনি তার পুস্তকে প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণও তুলে ধরেছেন। (এর থেকেই বোঝা যায় লুক নিজে প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন না) এবং প্রেরিতদের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্যও তার পুস্তকে ব্যবহার করেছেন। ও. ক্যালম্যানের গবেষণা মতে লুক যীশুর শিষ্য ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন পৌলের সফরসঙ্গী।