মানুষের চুল পড়ার অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেসিয়া, যা সাধারণত টাকনামে পরিচিত। এই ধরনের চুল পড়ার জন্য পুরুষদের মধ্যে দায়ী হরমোন ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরন (DHT) এবং মহিলাদের মধ্যে হরমোন অ্যান্ড্রোজেন।
অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
-
পুষ্টির অভাব: আমিষ, লোহা, জিঙ্ক, বা ভিটামিন বি-র অভাবে চুল পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
-
হরমোনজনিত সমস্যা: থাইরয়েড সমস্যা, অ্যাড্রেনাল সমস্যা, বা অন্যান্য হরমোনজনিত সমস্যা চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
-
মেডিকেল অবস্থা: কিছু মেডিকেল অবস্থা, যেমন অ্যালোপেসিয়া অ্যারেটা, অ্যালোপেসিয়া ইউনিভারসালিস, বা অ্যালোপেসিয়া আরেটা ভ্যারিয়ান্টস, চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
-
স্ট্রেস: মানসিক চাপ চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
-
চুলের যত্ন: চুলের যত্নের জন্য অতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা বা চুলের যত্নের জন্য অতিরিক্ত তাপ ব্যবহার করা চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
-
বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুল পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
চুল পড়ার ধরন এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে, এর চিকিৎসার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেসিয়ার চিকিৎসায় সাধারণত ওষুধ বা সার্জারি ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য কারণগুলির চিকিৎসায় সাধারণত মূল কারণটি চিহ্নিত করে চিকিৎসা করা হয়।
চুল পড়ার কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো:
-
মাথার ত্বকে চুলের গোড়ায় ছোট ছোট ফোঁটা দেখা যায়।
-
চিরুনি বা তোয়ালেতে বেশি পরিমাণে চুল আটকে থাকে।
-
বালিশের চাদর বা কাঁধে চুল পড়ে থাকে।
যদি আপনি লক্ষ্য করেন যে আপনার চুল অস্বাভাবিকভাবে পড়ছে, তাহলে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত।