ফুড পয়জনিং হল খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে ক্ষতিকর জীবাণু, রাসায়নিক পদার্থ বা বিষ প্রবেশের ফলে সৃষ্ট রোগ। এটি একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা যা বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করে।
ফুড পয়জনিংয়ের কারণ হতে পারে:
-
জীবাণু: ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, প্যারাসাইট বা ছত্রাক খাদ্যে উপস্থিত থাকতে পারে এবং খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এই জীবাণুগুলি বিভিন্ন ধরণের লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা,মাথাব্যথা এবং জ্বর।
-
রাসায়নিক পদার্থ: খাদ্যে রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতিও ফুড পয়জনিং হতে পারে। এই রাসায়নিক পদার্থগুলি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ বা পরিবেশন করার সময় খাদ্যে প্রবেশ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, খাদ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল গ্রহণ করলে ফুড পয়জনিং হতে পারে।
-
বিষ: খাদ্যে বিষের উপস্থিতিও ফুড পয়জনিং হতে পারে। এই বিষগুলি উদ্ভিদ, প্রাণী বা রাসায়নিক উৎস থেকে হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, মাশরুম খাওয়ার ফলে ফুড পয়জনিং হতে পারে।
ফুড পয়জনিংয়ের লক্ষণগুলি সাধারণত খাওয়ার কয়েক ঘন্টা বা দিনের মধ্যে শুরু হয়। লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
-
বমি বমি ভাব
-
বমি
-
ডায়রিয়া
-
পেটে ব্যথা
-
মাথাব্যথা
-
জ্বর
ফুড পয়জনিংয়ের গুরুতর ক্ষেত্রে, রোগীরা গুরুতর জলশূন্যতা, শক বা এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকতে পারে।
ফুড পয়জনিং প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত নিয়মগুলি অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ:
-
খাবার ভালোভাবে রান্না করুন। মাংস, পোল্ট্রি এবং ডিম ভালোভাবে রান্না না করলে ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না।
-
খাবার খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। ফল, সবজি এবং অন্যান্য কাঁচা খাবার খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিলে জীবাণু থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
-
খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করুন। খাবার সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করলে জীবাণুর বৃদ্ধি রোধ করা যায়।
-
অসুস্থ ব্যক্তির তৈরি খাবার খাবেন না। অসুস্থ ব্যক্তির তৈরি খাবারে জীবাণু থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
ফুড পয়জনিংয়ের লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।