পড়া শোনায় মনোযগী হওয়ার উপায়- পর্যাপ্ত স্টামিনা নাও: রাতে অন্ততঃ ৬ ঘন্টা ঘুমাও। তাহলে, সারাদিনে পর্যাপ্ত স্টামিনা পাবে। পড়ার মাঝে ঘুম ধরলে একটু চা বা কফি খেয়ে, একটু হাঁটাহাটি করে আবার পড়তে বসো। তবে ভুলেও পড়ার মাঝে ফেসবুকে ঢুকবে না। তা না হলে ৩ মিনিটের জন্য ম্যাসেজ চেক করতে ঢুকলে ৩০ মিনিটেও বের হতে পারবে না। আর মনোযোগ??? সে তো মনের ব্যাপার। মনকে শান্ত রাখো। তাহলে মনও তোমার সাথে সাঁয় দেবে। . যা ই কর, কর মন থেকে: নো ম্যাটার ইট ইজ স্টাডিং অর প্লেয়িং। মনে একটা, করছ আরেক টা, এভাবে সাফল্য পাওয়া খুব কঠিন ব্যাপার। সো মন লাগিয়ে কাজে লেগে যাও। আগে মন ঠিক কর- তারপর শুরু কর পড়াশোনা। দেখবে সাফল্য পেতে বেগ পেতে হবেনা মোটেও। . পড়াশোনার পরিবেশ তৈরী করো: পড়াশোনা করতে গেলে চাই উপযুক্ত পরিবেশ। তোমার টেবিলের এক কোনায় কম্পু,তোমার বাম হাতে মোবাইল, ডান হাতে ল্যাপটপ!!! এভাবে আর যাই হোক পড়াশোনা হবেনা! সুতরাং পড়াশোনার জন্য তৈরী কর ডেডিকেটেড পরিবেশ। রিডিং রুমের লাইট কতটুকু হলে তোমার চোখের জন্য আরাম হবে, রুমের দরজা বন্ধ করার ব্যবস্থা আছে কিনা, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কিনা এসব বিষয়ে খেয়াল কর। এবং অবশ্য অবশ্যই তোমার মোবাইল ফোন দূরে রাখ। যদি পড়ার সময় গান শুনতে ভাললাগে তবে লো মিউজিকে গান শুনতে পার, তবে খেয়াল রাখ এটা না আবার বিরক্তির পর্যায়ে না চলে যায়! লক্ষ্য ঠিক করুন-রুটিন তৈরী করো: তোমার লক্ষ্যই তোমাকে সঠিক পথে চলতে সবচাইতে বেশি সাহা্য্য করবে। পড়াশোনার জন্য তোমার কতটুকুন সময় বরাদ্দ আছে, তা বের কর। এবার প্রয়োজন অনুযায়ী রুটিন তৈরী কর এবং রুটিনে স্থির থাক। ফোকাস ম্যান-জাস্ট ফোকাস! পড়া শুরু করার সময় আগে পুরো বিষয়টির উপর চোখ বুলিয়ে নাও। দেখে নাও যে বিষয়টি পড়বে তার উদ্দেশ্য, সারাংশ ইত্যাদি। ঠিক কর কোন অংশটি তোমার জন্য দরকারি। । মেডিটেশান: এটা একটা অনেক ভাল উপায় যা তোমার মনোযোগকে দ্বিগুণ বাড়াতে পারে।